নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা চলছে নতুন শিক্ষা ব্যাবস্থায়। শিক্ষা বোর্ডগুলো ই ssc পরীক্ষা কিভাবে বা কোন পদ্ধতিতে হবে, শিক্ষার্থীদের কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে সেসব বিষয় এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।তবে চলতি বছর যেসব শিক্ষার্থী বিভাগ ভাগ ছাড়া নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে অধ্যয়ন শুরু করেছেন তারা এ শিক্ষাক্রমেই প্রথম এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া শুরু করার আগে পরীক্ষক, নিরীক্ষক, প্রশ্নকর্তাসহ এর সাথে জড়িত সবাইকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তবে, এ পরীক্ষা কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে এখনো অবগত করেননি শিক্ষা বোর্ডগুলো।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্রগুলো বলছে, নতুন শিক্ষাক্রমে পাবলিক পরীক্ষা আয়োজিত হবে সম্পূর্ণ নতুন নিয়মে। বর্তমানে যেসব শিক্ষক প্রশ্ন প্রণেতা, পরীক্ষক, নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন তারা পুরনো নিয়মে অভ্যস্ত। পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে হেলাফেলা করা যাবে না। পরীক্ষা নেয়ার আগে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এর আগে তাদের পুরো পদ্ধতি বোঝাতে হবে। তবে শিক্ষা বোর্ডগুলো নিজ নিজ উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ দেবে। প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশ্ন প্রণেতা, পরীক্ষক, নিরীক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষার কার্যক্রমের সঙ্গে অভ্যস্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে এ পরীক্ষা কি উপায়ে হবে তার মডেল এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বলা হচ্ছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নতুন শিক্ষাক্রমের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়ার মডেল করবে।

জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার কলেজ টু ইউনিভার্সিটি কে বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষা কোন নিয়মে অনুষ্টিত হবে,বা মূল্যায়ন কিভাবে হবে সে বিষয়গুলো এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ দেখছে। তারা পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করে বোর্ডকে অবগত করবেন। আমরা প্রস্তুতি চালাবো।

প্রশ্ন দাতা, পরীক্ষক ও নিরীক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি উত্তরে বলেন , পরীক্ষা সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই প্রশিক্ষণ দিতে হবে নতুন পদ্ধতিতে অভ্যস্ত করতে তবে এটি খুব বেশি সময়ের কাজ হবে না। নিজ নিজ উদ্যোগে সেটার-মডারেটরদের প্রশিক্ষণ দেবে ১১ টি শিক্ষা বোর্ড।

এদিকে এনসিটি র মাধ্যমে জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমের পাবলিক পরীক্ষার মডেল প্রস্তুত করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছে এনসিটিবি। নতুন কারিকুলাম প্রণয়নে জড়িত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এনসিটির কর্মকর্তারা এ মডেল প্রস্তুত করার কাজ করছে। সব শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা-পর্যালোচনা করে মডেল নিশ্চিত করা হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) দশম শ্রেণির শেষ পাবলিক পরীক্ষাকে দশম শ্রেণির যোগ্যতা যাচাইয়ের পাবলিক পরীক্ষা বলছে। বাংলা, ইতিহাস, গণিত, ইংরেজি ও সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি এ দশটি বিষয়ে দশম শ্রেণি শেষে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগে নবম শ্রেণি থেকেই বিভাগ বিভাজন শুরু হলেও নতুন শিক্ষাক্রমে তা হচ্ছে না। তাই এটাকে একমূখী শিক্ষা বলেও অভিহিত করা হচ্ছে। ক্লাস টেন এর মেধা যাচাইয়ে প্রত্যেক টা বিষয়ে ৫০ পার্সেন্ট শিখনকালীন মূল্যায়ন ও ৫০ পার্সেন্ট সামগ্রিক মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এন সি টি বি দ্বারা জাতীয় শিক্ষাক্রম জানিয়েছে, প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি নিম্ম স্থরের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের মূল্যায়ন করা হতো তাই বর্তমানে চলমান পদ্ধতি বহাল রেখে শিক্ষাক্রমের শিক্ষার্থীর জ্ঞান প্রদানের পাশাপাশি দক্ষতা, বাচন ভঙ্গি ও মূল্যবোধ অর্জন করা সম্ভব হবে না। তাই নতুন শিক্ষাক্রমে পাবলিক পরীক্ষায় সামষ্টিক মূল্যায়নের পাশাপাশি সকল কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

শিক্ষা , প্রযুক্তি ও দেশ বিদেশ এর খবর জানতে চোখ রাখুন কলেজ টু ইউনিভার্সিটি এর পেজে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.

As you found this post useful...

Follow us on social media!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Tell us how we can improve this post?

Leave a Comment