রোজায় স্কুল কলেজের ক্লাস বন্ধ রাখার দাবি

রোজায় স্কুল কলেজের ক্লাস বন্ধ রাখার দাবি


ইতিমধ্যেই জানা গেছে রমজান মাস জুড়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের কলেজে পাঠদান প্রতিদিনই চলবে। এই তথ্যটি জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এর আগে জানাই যে রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাঠদান যথারীতি চলবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি তে জানানো হয় যে ২০২৪ সালের বাৎসরিক ছুটির তালিকা কিছু কিছু সংশোধন করা হয়েছে। আর আগামী ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি র পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকবে এটি নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বলা হয়েছে।
আবার অন্যান্য বিজ্ঞপ্তিতেও জানানো হয় যে, কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলবে আগামী 10 মার্চ থেকে 24 মার্চ পর্যন্ত। রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে ১২ অথবা ১৩ই মার্চ থেকে। ( চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল) রমজানে ক্লাস খোলা রাখার জন্য সারাদেশে প্রতিবাদ শুরু করেছে সাধারণ জনগণ থেকে শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত। এইজন্য কিছু মানুষ প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও করেছেন। সাথে যোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকগণ। পাশাপাশি তারা পুরো রমজান জুড়ে স্কুল কলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ও দাবিও জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে অভিভাবকরা দাবি জানান যে বছরে শুরুতেই স্কুল ছুটির তালিকা ই পুরো রমজান মাসকে ছুটির আওতায় রাখা হয়েছিল। বিষয়টি আমাদের জন্য প্রশান্তির ছিল এবং এই সংবাদের আমরা আশ্বস্ত ও হয়েছিলাম যে আমাদের সন্তানরা পুরো রমজান মাসে ঠিকমতো রোজা করতে পারবে এবং ঠিকমত ভালো থাকতে পারবে। কারো রমজান মাসে অনেক কষ্ট করতে হয় তাছাড়া গরমে আরও বেশি কষ্ট হয় শিক্ষার্থীদের রোজা রাখতে। কিন্তু কিছুদিন আগে ছুটি বাতিল করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন তথ্য জানানো হয় যে রমজানে স্কুল কলেজ খোলা থাকবে। এতে হতাশ শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকগণ। এই দাবি জানানো হয় গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারি শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন অভিভাবক মহলের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে।
এছাড়া শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়া ভিডিও বার্তায় জানাই যে রমজান মাসে ক্লাস খোলা রাখার তীব্র প্রতিবাদ তিনি করছেন। এছাড়া পুরো রমজান মাসকে ছুটির আওতায় রাখার মতামত দিয়েছেন অনেক সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
এছাড়াও শিক্ষক নেতারা গত বছর শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি না পাওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এর আগের বছর। মুসলিম অধ্যুষিত দেশে ধর্মপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ কোনো প্রতিকূলতা ছাড়া রোজার মাস ইবাদতে কাটাতে পারে সেই জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার জন্য আহ্বান জানান অনেকেই। তারা আরও দাবি জানাই যে সব দিক বিবেচনা করে পুরো রমজান মাসকে ছুটির আওতায় আনা হোক এবং পুরো রমজান মাস জুড়ে ছুটি দেওয়া হোক।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.

As you found this post useful...

Follow us on social media!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Tell us how we can improve this post?

Leave a Comment