শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ পাওয়া সহজ উপায়
আমাদের প্রথমে জানতে হবে স্কলারশিপ কি ও কত প্রকার চলুন জেনে নেওয়া যাক স্কলারশিপ এর ব্যাপারে
স্কলারশিপ হল শিক্ষার্থীদের দেওয়া বিনামূল্যে অর্থ সহায়তা। যা তার একাডেমিক কৃতিত্ব বা অন্যান্য মানদণ্ডের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আর এই স্কলারশিপকে ছাত্রবৃত্তি শিক্ষাবৃত্তি বা বৃত্তি বলা যায়। মেধাবি শিক্ষার্থী যারা আছেন তাদের বিভিন্ন দেশি-বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বিনা খরচে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দেয়। দেয়। এটি কেই স্কলারশিপ বলে। যে সকল শিক্ষার্থী মেধাবী সে সকল শিক্ষার্থীদের একাডেমিক এর উপর ভিত্তি কর এ ধরনের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
স্কলারশিপ দুই প্রকারঃ
০১.Partial Scholarship (আংশিক বৃত্তি)
০২. Full Scholarship( পূর্ণ বৃত্তি)
০১. Full Scholarship অথবা পূর্ণবৃত্তিঃ এই বৃত্তি হচ্ছে যেখানে একজন শিক্ষার্থীর সমস্ত প্রাইভেট এবং টিউশন ফি বিনামূল্যে করা হয়। এই বৃত্তিতে এ বই কেনার খরচও কখনো কখনো প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকেন। এবং মাসিক উপবৃত্তি সহ নানারকম সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে।
ধরনের অর্থের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। স্কলারশিপ মানে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সম্পূর্ণ খরচ অথবা আংশিক অর্থ পুরস্কার। তবে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, এটি আপনার শিক্ষার ব্যয় অনেক টাই কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে। যা আপনাকে উচ্চ শিক্ষার অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং আগ্রহ বাড়াবে।
০২. Partial Scholarship আংশিক বৃত্তিঃ এখানে শিক্ষার্থীর সম্পূর্ণ টিউশন ফি বাতিল হয় না। আংশিক করা হয়। এ ধরনের বৃত্তি মূলত Full Scholarship এর তুলনায় কম অর্থ প্রদান করা হয়।
স্কলারশিপের বিভিন্ন ধরন:
অনেক কলেজের শিক্ষার্থীরা নামী-দামী বিভিন্ন সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় হতে মেধা ভিত্তিক স্কলারশিপ পেয়ে থাকে। তবে এর জন্য আপনাকে কিছু কিছু শর্ত পূরণ করতেই হবে। তাই শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় আগে নির্ধারিত শর্ত ও যোগ্যতার মান নির্ধারণ করেই অংশগ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া এটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
স্কলারশিপ পাওয়ার সঠিক সময়:
স্কলারশিপ পেতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে কোন সময়ে স্ক্লারশিপ পাওয়া যায়। এইস,এস,সি বা অনার্স পাস করে বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় হয় কি না। এইস,এস,সি ও অনার্স এই ২ স্তরের মধ্যে এইচ,এস,সি পাস করে স্কলারশিপ পাওয়া সহজ। তবে আপনি এইচ,এস,সি বা অনার্স যে স্তরেই স্কলারশিপ ই চান না কেন,এটি অর্জন করতে হলেপ্রয়োজনীয় সকল যোগ্যতা ও শর্ত পালন করতে হবে তা না হলে সম্ভব না।
স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা:
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা যারা স্কলারশিপ পাওয়ার মেধা যাচাই করে থাকে। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক শ্রেনিতে ভর্তির জন্য Scholastic Assessment Test এর স্কোর চাওয়া হয়। তাই উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে SAT স্কোর বৃদ্ধিতে বিশেষ মনোযোগী হতে হবে।
তাছাড়া আপনি বিভিন্ন সেবামূলক, প্রতিযোগিতামূলক সংস্থার সম্পৃক্ত থাকেন তাহলে এইগুলা আপনাকে স্কলারশিপ পেতে অনেকটাই নিশ্চিত করবে আপনি বিভিন্ন অলিম্পিয়াড, সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। আর এই কাজ গুলো আপনাকে সার্টিফিকেটের অতিরিক্ত সুবিধা দিবে। যার কারনে আপনি স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
অতি জরুরী একটা বিষয় হল স্কলারশিপের আবেদনের জন্য সুপারিস পত্র উল্লেখ থাকতে হবে ইন্টারেস্ট, সামাজিক দক্ষতা ও নেতৃত্ব ক্ষমতা সম্পর্কে উল্লেখ থাকতে হবে। আর এই সুপারিস পত্র এমন একজনকে দিয়ে লেখাবেন যিনি আপনার সম্পর্কে জ্ঞাতও রয়েছেন।
স্কলারশিপ পাবার জন্য ইংরেজি জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি অবশ্যই ইংরেজিতে স্পিকিং এর ও বোঝার দক্ষতা থাকতে
হবে। এক্ষেত্রে IELTS এবং TOEFL স্কোর আপনার ইংরেজির দক্ষতা প্রমাণ করবে। আপনি এখন স্মার্টফোনে Android App এর মাধ্যমেই ঘরে বসে IELTS অনুশীলন করতে পারেন।
স্কলারশিপ পাওয়ার সহজ উপায়:
কোন শিক্ষার্থীর যদি এইচ এস সি পাস করে বিদেশে স্কলারশিপ নিতে চায় তাহলে তার এইচ,এস,সি তে থাকা অবস্থায়ই নিজের একাডেমিক অর্জন আরো উন্নত করতে হবে । আর শিক্ষার্থী যদি ওই স্তরে ভালো করতে পারে স্কলারশিপ পাওয়ার পথ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে ।
এক একটি স্কলারশিপের এক একটি নিজস্ব আবেদন প্রক্রিয়া থাকে। আপনি তাদের নিজের ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় সকল যোগ্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন। আর আপনি সেখানে সকল ধরনের তথ্য বা খবরাখবর পেয়ে যাবেন।
কিছু কিছু অর্থ প্রদানকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান তারা আপনাকে আবেদন করতে বলবে। আর বেশির ভাগ আবেদন অনলাইনে জমা করতে হয়। একাডেমিক ভিত্তিক স্কলারশিপের জন্য সাধারণত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমানের প্রয়োজন হয়ে থাকে। পাশাপাশি কোন কোন বিষয়ে দক্ষতা আছে, তার ওর একটি আর্টিকেল জমা করতে হয়।
এক্ষেত্রে আপনার প্রথম কাজ হবে, আপনি যখন আপনার আবেদন পত্রটি পাবেন তখন সেই আবেদন পত্রটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তারপর সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করুন ও নিশ্চিত করুন যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আপনার আবেনটি স্কলারশিপ যে দেবে তার কাছে পৌঁছাবে।
পরিশেষে কিছু কথা
কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যাই তা আপনারা জানতে পারলেন উপরের আর্টিকেলের মাধ্যমে এবার আপনার প্রথম কাজ হল- এটি পাওয়ার জন্য নিজেদের যোগ্য করে তোলা। তবে আপনাদের মনে রাখতে হবে আপনি যদি স্কলারশিপ পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার মেধা ও যোগ্যতা থাকতে হবে। তা ছাড়া অনেক কঠিন । কারণ, একজন ভালো ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে তারা স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। সে যেন এই উচ্চ শিক্ষা করার পর দেশ ও সমাজের জন্য কিছু উপকার করতে পারে। আপনি যদি স্কলারশিপ পেয়ে যান তাহলে আপনাকে দেখে অনেক শিক্ষার্থী ই অনুপ্রানিত হবে। আর তারাও
চাইবে নিজেকে স্কলারশিপের জন্য নিজেকে যোগ্য করে তোলার জন্য। আর তাই আপনি নিজের একটা সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে তৈরি করুন এবং অন্যদেরও অনুপ্রাণিত হতে সাহায্য করুন।