ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। নোবেলজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস হয়েছেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
এবং তার নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। তবে এখন প্রশ্ন উঠেছে অন্তবর্তী সরকার উপদেষ্টারা কি ধরনের সুবিধা পাবেন এবং তাদের দায়িত্ব কিভাবে পরিচালনা করবেন।
২০১১ সালের সংবিধানে পঞ্চদশ সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পর এ ধরনের সরকার উপদেষ্টাদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে।
সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই তবে বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী সমতুল্য পদমর্যদার সমান হবে। এবং মন্ত্রী সমান মর্যাদা পাবেন উপদেষ্টারা।
দ্য প্রাইম মিনিস্টার ইমিউনিনেশন এন্ড প্রিভ ভিলেজেস এ্যাক্ট অনুযায়ী ২০১৬ অনুযায়ী প্রধান মন্ত্রীর মাসিক বেতন ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা এছাড়াও মাসিক বাড়ি ভাড়া দৈনন্দিন ভাতা যাতায়াত খরচ ইন্সুরেন্স সুবিধা বিদেশ যাতায়াত কূটনৈতিক পাসপোর্ট টেলিফোন ব্যয় চিকিৎসা সেবা সহ বিভিন্ন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই সকল সুবিধায় ভোগ করবে বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টা। সরকারি বাসভবন পাওয়ার অধিকার থাকবে প্রধান উপদেষ্টার।
তিনি চাইলে নিজের বাড়িতে থাকতে পারবে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবে এবং সরকারি টাকার সংস্কার করা হবে সেই বাড়িটা। এবং নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে স্পেশাল ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এছাড়া তার সকল যাতায়াত আকাশ পথে ভ্রমন সবকিছুই খরচ বহন করবে রাষ্ট্র। তার সাথে থাকছে ২৫ লাখ টাকার বীমা কভারেজ।
এছাড়া মন্ত্রীর সমান মর্যাদা পাবেন উপদেষ্টারা। তারা মন্ত্রীদের মতোই বেতন ভাতা পাবেন এক্ষেত্রে পূর্ণমন্ত্রীর মাসিক বেতন ১ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং প্রতিমন্ত্রীদের বেতন ভাতা বিরানব্বই হাজার টাকা সহ বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা গন।
এবং এই বেতন গুলো করমুক্ত থাকবে। তাছাড়া মোবাইল ফোনের জন্য এবং গাড়ি ব্যবস্থার জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকবে। এর পাশাপাশি রেল ও বিদেশ ভ্রমণের খরচ বহন করবে রাষ্ট্র।
এছাড়াও সরকারি বাসভবন ব্যবহারের সুযোগ পাবেন উপদেষ্টারা। সেখানে বিদ্যুৎ গ্যাস পানি সহ সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থাকবে এবং এগুলো রাষ্ট্র বহন করবে।। এমনকি বাসার নিরাপত্তার জন্য বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করবে রাষ্ট্র।
২০১১ সালের সংবিধান অনুযায়ী পঞ্চদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধানে সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়াই ধরনের সরকারের উপদেষ্টাদের দায়িত্ব এবং সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নতুন সরকার গঠনের পর এ বিষয়ের নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হতে পারে।