আগামী এপ্রিলে প্রকাশ হতে চলেছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ম ধাপে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক / শিক্ষিকা নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ (NTRCA)। অনলাইনে আবেদন করে এ গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে সনদের মেয়াদ থাকা অবস্থায় নিবন্ধিত প্রার্থীরা বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও কারিগরি ,মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদে শিক্ষক-প্রভাষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পাবেন। ইতোমধ্যে ৫ম ধাপে শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায় ,৫ম ধাপে শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগের শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহে নতুন ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন ও আগেই নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের তথ্য সঠিক ভাবে কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। এবং প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য নিবন্ধিত শিক্ষা হবে। শূন্যপদের তথ্য সঠিক যাচাই-বাছাই করে আগামী মাসে এপ্রিলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এনটিআরসি (NTRC) শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখা এ কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে উক্ত তথ্য জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মরত একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি বলেন, আমরা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্য নিয়ে এপ্রিল মাসে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিন আগে ই-রেজিস্ট্রেশন করার সময় শেষ হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে তথ্য সঠিক ই-রেজিস্ট্রেশন করেছে। এবার কারিগরি সাহায্যে দেয়া প্রতিষ্ঠান টেলিটকের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুতার সাথে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ বা ই-রিকুইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান ই-রেজিস্ট্রেশন বা তথ্য হালনাগাদ করেছে তারা শূন্য পদের তথ্য দেবে।এবার ই-রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়াইনি। সেই গুলো যাচাই-বাছাই করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠান এবার ই-রেজিস্ট্রেশন বা তথ্য হালানাগাদ করেনি তাদের পরবর্তী পর্যায়ে শিক্ষক/ শিক্ষিকা নিয়োগ দিতে হবে। এই বছরে একাধিকবার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় । তাই আপাতত যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তে শূন্য পদের তথ্য দিয়েছে তাদের সে প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ হবে খুব শীঘ্রই। এবং পরবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের করে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ ব্যবস্থা করা হবে। এই বছরে অধিকাংশ নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে এতে সংকট সৃষ্টি হবে না। দেশের বেকারত্বের হারেও অনেকটা কমবে।
শিক্ষা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ৪র্থ পর্যায়ের শিক্ষক /শিক্ষিকা নিয়োগ চক্রে প্রার্থী না পাওয়া পদ শূন্য ছিলো ৪১ হাজার। আর এই পদ গুলো খালি রয়েছে ২০২২সালের আগস্ট সেপ্টেম্বর মাস থেকে । এবং বিগত দেড় বছরে আরো একাধিক পদ শূন্য রয়েছে কারণ শিক্ষকদের অবসর, উচ্চতর পদে নিয়োগ ও মৃত্যুজনিত কারণে । সে হিসেবে অর্ধলক্ষাধিক পদ শূন্য আছে ৩৫ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু সেই সকল প্রতিষ্ঠানে যেসব পদ শূন্য আছে সেগুলোর সব ই-রেজিস্ট্রেশন বা তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনো।
তবে ৫ম পর্যায়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি কবে প্রকাশিত করা হবে সে বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কোনো মন্তব্য করতে চাননি কর্মরত কর্মকর্তাগণ জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সংক্রান্ত তথ্য দেয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সচিব মোহাম্মদ. ওবায়দুর রহমান বলেন, ই-রেজিস্ট্রেশন ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। খুব দ্রুত আমরা টেলিটকের সঙ্গে বসে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া কাজ শুরুর বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই শেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এর পূর্বে কোন সঠিক সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারছে না।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন দেশ ,বিদেশ শিক্ষা পড়াশোনা ,কেরিয়ার এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম ছবি ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে পেতে আমাদের পেজে লাইক দিয়ে চোখ রাখুন কলেজ টু ইউনিভার্সিটি তে।