জীবনের পথে চলতে গিয়ে আপনি নিশ্চয়ই এমন মানুষের মুখোমুখি হয়েছেন, যারা হাসিতে আপনাকে আপন মনে করায়, কিন্তু প্রয়োজনে নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই দেখে না। এই স্বার্থপর মানুষগুলো খুব জোরে আঘাত করে না, তারা নীরবে ক্ষত তৈরি করে। সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, পরিবার—সব জায়গায় তারা ধীরে ধীরে বিশ্বাস নষ্ট করে দেয়। এই লেখায় এমন বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উঠে আসা তিক্ত কিন্তু সত্য কথা থাকবে, যা পড়ে আপনি হয়তো নিজের জীবনের অনেক মানুষকে চিনে ফেলবেন।
এখানে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এর বেশি স্বার্থপর মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস ও উক্তি, যা বাস্তব জীবন থেকেই নেওয়া। আশা করি এগুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং আপনারা চাইলেই এগুলো কপি করে নিজের ফেসবুক ওয়ালে কিংবা instagram আইডিতে পোস্ট দিতে পারেন।
স্বার্থপর মানুষকে চিনে নেওয়ার বাস্তবতা
সব মানুষ জন্মগতভাবে স্বার্থপর হয় না। সময়, প্রয়োজন আর সুবিধাই অনেককে ধীরে ধীরে স্বার্থপর বানিয়ে তোলে। যখন কারও দরকার পড়ে, তখন সম্পর্কের মূল্য বেড়ে যায়। দরকার ফুরিয়ে গেলে মুখোশ খুলে পড়ে। কেউ কথা দিয়ে মানুষ বেঁধে রাখে, কেউ আবেগ ব্যবহার করে, কেউ আবার আত্মীয়তার নামে সুযোগ নেয়। স্বার্থপর মানুষকে চিনতে গেলে তাদের কথার চেয়ে কাজের দিকে তাকাতে হয়। তারা সব সময় নিজের লাভ–লোকসান হিসেব করে, আপনার কষ্ট সেখানে খুব একটা জায়গা পায় না।
স্বার্থপর ভালোবাসা নিয়ে স্ট্যাটাস
“স্বার্থপর ভালোবাসা পাশে থাকে, বোঝে না।”
“ভালোবাসার নামে নিজের চাওয়াই বড় হয়ে ওঠে।”
“স্বার্থপর ভালোবাসায় ত্যাগ একতরফা হয়।”
“যেখানে শুধু দাবি থাকে, সেখানে ভালোবাসা ক্লান্ত করে।”
“স্বার্থপর ভালোবাসা আবেগকে বন্দি করে।”
“ভালোবাসার নাম নিয়ে নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়।”
“স্বার্থপর ভালোবাসায় বুঝে নেওয়া নেই।”
“সব সময় নিজের অনুভূতিই মুখ্য।”
“স্বার্থপর ভালোবাসা নিরাপত্তা দেয় না।”
“ভালোবাসার আড়ালে থাকে ভয়।”
“স্বার্থপর ভালোবাসা আপনাকে বদলাতে চায়।”
“যেখানে শোনা নেই, সেখানে ভালোবাসা নেই।”
“স্বার্থপর ভালোবাসায় ক্ষমা শুধু কথা।”
“ভালোবাসার নামে দোষ চাপানো হয়।”
“স্বার্থপর ভালোবাসা কষ্টকে স্বাভাবিক বানায়।”
“ভালোবাসার দায়িত্ব একপাশে থাকে।”
“স্বার্থপর ভালোবাসায় সীমা মানা হয় না।”
“ভালোবাসার বদলে আসে চাপ।”
“স্বার্থপর ভালোবাসা আপনাকে ছোট করে।”
“ভালোবাসার নামে আবেগের খেলা চলে।”
“স্বার্থপর ভালোবাসা একা করে দেয়।”
“যেখানে সম্মান নেই, সেখানে ভালোবাসা টেকে না।”
“স্বার্থপর ভালোবাসা শান্তি কেড়ে নেয়।”
“ভালোবাসার নামে ব্যবহার শুরু হয়।”
“স্বার্থপর ভালোবাসা নিরাপদ নয়।”

“যেখানে সমতা নেই, সেখানে ভালোবাসা দুর্বল।”
“স্বার্থপর ভালোবাসা বিশ্বাস ভাঙে।”
“ভালোবাসার চেয়ে স্বার্থ বড় হলে শেষটা কষ্টের।”
“স্বার্থপর ভালোবাসা সম্পর্ককে ভারী করে।”
“ভালোবাসা তখনই সুন্দর, যখন দুজনই গুরুত্বপূর্ণ।”
স্বার্থপর ভাই নিয়ে উক্তি
“স্বার্থপর ভাই নিজের সুবিধাটাই আগে দেখে।”
“রক্তের সম্পর্কও স্বার্থে বদলে যায়।”
“স্বার্থপর ভাই পাশে থাকে প্রয়োজনে।”
“কথায় ভাই, কাজে অচেনা।”
“স্বার্থপর ভাই পরিবারের ভার বোঝে না।”
“নিজের লাভের জন্য সে সব ভুলে যায়।”
“ভাই হয়েও দায়িত্ব এড়িয়ে চলে।”
“স্বার্থপর ভাইয়ের কাছে আবেগের মূল্য কম।”
“পরিবারের কষ্ট তার কাছে গল্প।”
“স্বার্থপর ভাই সব সময় নিজেকে বাঁচায়।”
“দুঃসময়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না।”
“ভাই হয়েও সে দূরত্ব তৈরি করে।”
“স্বার্থপর ভাই ত্যাগের মানে বোঝে না।”
“পরিবারে সে সবসময় সুবিধা খোঁজে।”
“স্বার্থপর ভাই কথায় আশ্বাস দেয়।”
“কিন্তু কাজে থাকে না।”
“রক্তের সম্পর্কও সেখানে ভারী হয়ে ওঠে।”
“স্বার্থপর ভাই নিজের পথেই চলে।”
“পরিবার তার অগ্রাধিকার নয়।”
“ভাই হলেও বিশ্বাস ভাঙে।”
Related article:১৫০+ শূন্যতা নিয়ে ক্যাপশন ও উক্তি: নীরব, গভীর ও মনছোঁয়া কথা
Related article:১৫০+স্মৃতি নিয়ে উক্তি: বেদনাময় ও হৃদয়ছোঁয়া কথা
স্বার্থপর বন্ধু নিয়ে স্ট্যাটাস
“স্বার্থপর বন্ধু প্রয়োজনে পাশে থাকে।”
“সুবিধা গেলে সে অচেনা হয়ে যায়।”
“বন্ধুত্বের নামে ব্যবহারই তার অভ্যাস।”
“স্বার্থপর বন্ধু আপনার সময় নেয়।”
“কিন্তু নিজের সময় দেয় না।”
“বন্ধু হয়েও সে হিসেব কষে চলে।”
“স্বার্থপর বন্ধু কথায় অনেক কিছু বলে।”
“কাজে খুব কমই থাকে।”
“আপনার কষ্ট তার কাছে বিরক্তিকর।”
“বন্ধুত্বে সে সবসময় নিজেকে দেখে।”
“স্বার্থপর বন্ধু সাফল্যে অস্বস্তি বোধ করে।”
“আপনি বদলালে নয়, সে সুবিধা না পেলে দূরে যায়।”
“বন্ধু হলেও বিশ্বাস রাখা কঠিন।”
“স্বার্থপর বন্ধু দোষ চাপাতে জানে।”
“বন্ধুত্বে সমতা না থাকলে ক্লান্তি আসে।”
“স্বার্থপর বন্ধু সবকিছু স্বাভাবিকভাবে নেয়।”
“কৃতজ্ঞতা তার অভিধানে নেই।”
“বন্ধু হয়েও সে দায়িত্ব এড়ায়।”
“স্বার্থপর বন্ধু আপনাকে অপশন বানায়।”
“সব বন্ধু সত্যিকারের হয় না।”
স্বার্থপর আত্মীয়–স্বজন নিয়ে স্ট্যাটাস
“স্বার্থপর আত্মীয় প্রয়োজনে আপন, সুবিধা গেলে অচেনা।”
“রক্তের সম্পর্কও স্বার্থে বদলে যায়।”

“স্বার্থপর আত্মীয় হাসে বেশি, পাশে থাকে কম।”
“কথায় আপন, কাজে দূরে।”
“তাদের ভালোবাসা হিসেব করা।”
“স্বার্থপর আত্মীয় কষ্টকে গুরুত্ব দেয় না।”
“পরিবারের নাম নিয়ে সুবিধা নেয়।”
“দুঃসময়ে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।”
“স্বার্থপর আত্মীয় সবকিছুতেই লাভ খোঁজে।”
“আত্মীয়তা সেখানে শুধু পরিচয়।”
“তারা দোষ দিতে জানে, দায় নিতে না।”
“স্বার্থপর আত্মীয় পরামর্শ দেয় সহজে।”
“কিন্তু সাহায্যে পিছিয়ে যায়।”
“সম্পর্কে তারা সীমা মানে না।”
“স্বার্থপর আত্মীয় আপনার নীরবতাকে দুর্বলতা ভাবে।”
“পরিবারেও বিশ্বাস ভাঙে।”
“তারা আপনার সময়ের মূল্য বোঝে না।”
“স্বার্থপর আত্মীয় সবকিছু স্বাভাবিক বলে চালায়।”
“রক্তের সম্পর্কও ভারী হয়ে ওঠে।”
“স্বার্থপর আত্মীয় থেকে দূরে থাকাই শান্তি।”
স্বার্থপর মানুষ নিয়ে কিছু কথা ও হাদিস
স্বার্থপরতা মানুষের হৃদয়কে সংকীর্ণ করে তোলে, আর সম্পর্ককে শূন্য করে দেয়
যে মানুষ শুধু নিজের লাভ দেখে, সে অন্যের হক নষ্ট করতে দ্বিধা করে না
স্বার্থপর মানুষ দুনিয়ায় সফল মনে হলেও অন্তরে শান্তি পায় না
মানুষের চরিত্র তার আচরণেই ধরা পড়ে, কথায় নয়
স্বার্থপরতা ধীরে ধীরে মানুষকে একা করে দেয়
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে নিজের জন্য যা চায়, তার ভাইয়ের জন্যও তা চায়” — সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম
এই হাদিস আমাদের শেখায়, স্বার্থপরতা ঈমানের পরিপূর্ণতার পথে বাধা
কুরআনে বলা হয়েছে, মানুষ নিজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে ভালোবাসে, আর এ প্রবৃত্তি থেকেই অন্যায় জন্ম নেয়
রাসুল ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন না” — সহিহ বুখারি
স্বার্থপর মানুষের দয়া সীমিত থাকে নিজের সুবিধার মধ্যে
ইসলাম শেখায়, অন্যের হক আদায় করা ইবাদতের অংশ
রাসুল ﷺ বলেছেন, “সর্বোত্তম মানুষ সে, যে মানুষের উপকারে আসে” — হাদিসে বর্ণিত
এই হাদিস স্বার্থপরতার ঠিক বিপরীত শিক্ষা দেয়
স্বার্থপর মানুষ আমানত রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়
রাসুল ﷺ বলেছেন, “মুনাফিকের লক্ষণ তিনটি— কথা বললে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে, আমানত রাখলে খেয়ানত করে” — সহিহ বুখারি
স্বার্থপরতা মানুষকে ওয়াদা ভঙ্গের পথে ঠেলে দেয়
কুরআন মানুষকে আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে উৎসাহ দেয়
রাসুল ﷺ বলেছেন, “তোমরা একে অপরের প্রতি হিংসা করো না, বিদ্বেষ পোষণ করো না” — সহিহ মুসলিম
স্বার্থপরতা থেকেই হিংসা ও বিদ্বেষ জন্ম নেয়
যে মানুষ নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে স্বার্থপরতা থেকেও মুক্ত হতে পারে
স্বার্থপর মানুষ নিয়ে বাস্তব কিছু স্ট্যাটাস
এখানে আমরা তুলে ধরছি স্বার্থপর মানুষ নিয়ে বাস্তব কিছু স্ট্যাটাস যেগুলো আপনারা আপনাদের জীবনের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন।
“স্বার্থপর মানুষ সব সময় নিজের প্রয়োজনটা আগে বোঝে।”
“আপনার কষ্ট তাদের কাছে গল্প ছাড়া কিছু নয়।”
“প্রয়োজনে যারা কাছে আসে, সুবিধা গেলে দূরে সরে।”
“স্বার্থপর মানুষ সম্পর্ককে ব্যবহার করে, অনুভব করে না।”
“তারা হাসে ঠিকই, কিন্তু সেই হাসিতে মায়া থাকে না।”
“স্বার্থপর মানুষের কাছে সত্য মানে নিজের সুবিধা।”
“আপনার নীরবতা তারা দুর্বলতা ভাবে।”
“যখন আপনি আর দরকারি নন, তখন আপনাকে ভুলে যাওয়া সহজ।”
“স্বার্থপর মানুষ কথায় নয়, কাজে ধরা পড়ে।”
“তারা আপনাকে নয়, আপনার উপকারটাই চেনে।”
“বিশ্বাস তাদের কাছে সাময়িক জিনিস।”
“আপনার সময়ের মূল্য তারা বোঝে না।”
“স্বার্থপর মানুষ সব সময় নিজেকে নির্দোষ ভাবে।”
“তারা কষ্ট দেয়, আবার সেটাকে স্বাভাবিক বলে চালায়।”
“নিজের লাভের জন্য তারা আপনাকে বদলাতে চায়।”
“স্বার্থপর মানুষের কাছে সম্পর্ক মানে লেনদেন।”
“তারা পাশে থাকে যতক্ষণ লাভ থাকে।”
“আপনি বদলে গেলে নয়, তারা বদলে গেলে সমস্যা।”
“স্বার্থপর মানুষ আপনার সীমা মানে না।”
“তাদের কাছে ক্ষমা মানে আবার সুযোগ পাওয়া।”
“আপনার ভালোলাগা তাদের সিদ্ধান্তে আসে না।”
“স্বার্থপর মানুষ সব সময় নিজেকে বাঁচায়।”
“তারা আপনার দুর্বলতা জানে, ব্যবহারও করে।”
“প্রয়োজন ফুরোলেই তারা অচেনা।”
“স্বার্থপর মানুষ আপনার কষ্টকে হালকা করে দেখে।”
“তাদের কাছে সবকিছুর মাপ একটাই—নিজের সুবিধা।”
“আপনি যত দেন, তারা তত নেয়।”
“স্বার্থপর মানুষ কখনোই পূর্ণ হয় না।”
“তারা চায়, কিন্তু দিতে শেখে না।”
“আপনার ভালবাসা তাদের কাছে দায়িত্ব নয়।”
“স্বার্থপর মানুষ সব সম্পর্কেই একই।”
“তাদের বদলানোর আশা করাই ভুল।”
“তারা আপনাকে নয়, নিজের স্বার্থকে ভালোবাসে।”
বন্ধুত্বে স্বার্থপরতা নিয়ে স্ট্যাটাস
“বন্ধু মানেই পাশে থাকা নয়, কেউ কেউ শুধু প্রয়োজনে বন্ধু।”
“স্বার্থপর বন্ধু আপনার সময় নেয়, কিন্তু আপনাকে সময় দেয় না।”
“তারা সমস্যায় ডাকে, আনন্দে ভুলে যায়।”
“বন্ধুত্বের নামে ব্যবহার করাই তাদের অভ্যাস।”
“স্বার্থপর বন্ধু আপনার সাফল্যে অস্বস্তি বোধ করে।”
“তারা আপনাকে শুনতে চায় না, শুধু বলতে চায়।”
“আপনার কষ্ট তাদের গল্পের উপকরণ।”
“স্বার্থপর বন্ধুর কাছে আপনি অপশন।”
“তারা সবসময় নিজের কথা বোঝাতে ব্যস্ত।”
“বন্ধুত্বে সমতা না থাকলে সেটা বোঝা হয়ে যায়।”
“স্বার্থপর বন্ধু আপনার সীমা বোঝে না।”
“তারা সাহায্য চায়, কিন্তু কৃতজ্ঞতা জানে না।”
“আপনি বদলালে নয়, তারা সুবিধা না পেলে দূরে যায়।”
“স্বার্থপর বন্ধু সবকিছুতেই নিজের লাভ খোঁজে।”
“তারা কথা দেয় সহজে, রাখে না।”
“আপনার অনুভূতি তাদের কাছে বাড়তি।”
“স্বার্থপর বন্ধু আপনার নীরবতাকে ব্যবহার করে।”
“তারা দোষ চাপাতে ওস্তাদ।”
“বন্ধুত্বে তারা হিসেব কষে চলে।”
“স্বার্থপর বন্ধু সব সময় ব্যস্ত থাকে।”
“আপনি পাশে না থাকলে তারা রাগ করে।”
“তাদের সমস্যাই সবচেয়ে বড়।”
“স্বার্থপর বন্ধু আপনাকে দোষী বানাতে জানে।”
“তারা সবসময় ঠিক, আপনি সবসময় ভুল।”
“বন্ধুত্বে তারা বিনিয়োগ করে না।”
“স্বার্থপর বন্ধু আপনার ভালোমানুষিকে সুযোগ ভাবে।”
“তারা সম্পর্ক ভাঙে, দায় নেয় না।”
“আপনার উপস্থিতি তাদের জন্য সুবিধা।”
“স্বার্থপর বন্ধু আপনাকে ক্লান্ত করে দেয়।”
“তারা কথা দিয়ে আপনাকে বেঁধে রাখে।”
সম্পর্কে স্বার্থপর মানুষ নিয়ে উক্তি
“সম্পর্কে স্বার্থপরতা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়।”
“ভালোবাসার নামে ব্যবহার করাই সবচেয়ে বড় প্রতারণা।”
“স্বার্থপর মানুষ আবেগ বুঝে খেলতে জানে।”
“পরিবারেও স্বার্থপরতা নীরবে বাসা বাঁধে।”
“তারা আপনার দায়িত্ব মনে রাখে, নিজেরটা ভুলে যায়।”
“স্বার্থপর মানুষ সম্পর্ককে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।”
“আপনার চাওয়া সেখানে গুরুত্ব পায় না।”
“তারা ভালোবাসা দাবি করে, কিন্তু দেয় না।”
“সম্পর্কে সবকিছু একতরফা হলে ক্লান্তি আসে।”
“স্বার্থপর মানুষ আপনার ত্যাগকে স্বাভাবিক ভাবে দেখে।”
“তারা দোষ দেয়, সমাধান চায় না।”
“সম্পর্কে তারা সবসময় জেতে।”
“আপনার সীমা মানা তাদের পছন্দ নয়।”
“স্বার্থপর মানুষ আবেগকে অস্ত্র বানায়।”
“তারা আপনাকে অপরাধবোধে রাখে।”
“সম্পর্কে তারা নিরাপত্তা নয়, চাপ দেয়।”
“স্বার্থপর মানুষ কথা ঘুরিয়ে দেয়।”
“তারা ভালোবাসাকে শর্তে বেঁধে ফেলে।”
“আপনার কষ্ট তাদের কাছে বিরক্তিকর।”
“সম্পর্কে তারা নিজেকে কেন্দ্র বানায়।”
“স্বার্থপর মানুষ ক্ষমা চায় না।”
“তারা ভুল স্বীকার করতে জানে না।”
“সম্পর্কে তারা দায়িত্ব এড়ায়।”
“আপনার সহনশীলতাই তাদের শক্তি।”
“স্বার্থপর মানুষ সম্পর্ক ভেঙে ফেলে।”
“তারা আবার আপনাকেই দোষ দেয়।”
“সম্পর্কে তারা নিজের স্বার্থ রক্ষা করে।”
“আপনার আবেগ সেখানে গৌণ।”
“স্বার্থপর মানুষ সব সম্পর্কেই একই।”
“তারা বদলানোর প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু বদলায় না।”
মানুষের মুখোশ ও স্বার্থপরতা নিয়ে উক্তি
“সব হাসি সত্য নয়।”
“মুখে ভালোবাসা, কাজে স্বার্থ।”
“মানুষ মুখোশ পরে চলতে শিখে যায়।”
“স্বার্থপরতা ঢাকতে তারা অভিনয় করে।”
“মিষ্টি কথার আড়ালে লুকিয়ে থাকে হিসেব।”
“মুখোশ খুলে পড়ে সময়ের সাথে।”
“তারা এক কথা বলে, আরেকটা করে।”
“স্বার্থপর মানুষ বিশ্বাস ভাঙতে জানে।”
“তারা আপনাকে বিভ্রান্ত করে।”
“মুখোশের আড়ালে আসল মানুষ লুকিয়ে থাকে।”
“স্বার্থপরতা ধরা পড়ে কাজে।”
“তারা নিজের স্বার্থে রূপ বদলায়।”
“মুখোশ খুললে মানুষ চিনতে সুবিধা হয়।”
“স্বার্থপর মানুষ নাটক করতে ওস্তাদ।”
“তারা আবেগের অভিনয় জানে।”
“মুখে সহানুভূতি, মনে হিসেব।”
“তারা সত্য লুকোতে পারদর্শী।”
“স্বার্থপরতা তাদের স্বভাব।”
“মুখোশ ছাড়া তারা অচেনা।”
“তারা বিশ্বাসকে খেলনা বানায়।”
“মুখোশ ভাঙলেই সত্য দেখা যায়।”
“স্বার্থপর মানুষ ভেতরে ফাঁকা।”
“তারা সম্পর্ককে ব্যবহার করে।”
“মুখোশ তাদের নিরাপত্তা।”
“স্বার্থপরতা ধীরে প্রকাশ পায়।”
“তারা সময় নেয়, বিশ্বাস নেয়।”
“মুখোশের নিচে থাকে শূন্যতা।”
“স্বার্থপর মানুষ নিজের সুবিধা দেখে।”
“তারা মানুষ চেনে না, সুযোগ চেনে।”
মুখোশ একদিন খুলবেই
স্বার্থপর মানুষ থেকে শিক্ষা নেওয়ার উক্তি
“সবাইকে বিশ্বাস করা ঠিক নয়।”
“কথার চেয়ে কাজ দেখাই বুদ্ধিমানের।”
“নিজের সীমা টানতে শেখা জরুরি।”
“স্বার্থপর মানুষ থেকে দূরে থাকাই শিক্ষা।”
“নিজেকে অগ্রাধিকার দেওয়া অপরাধ নয়।”
“সব সম্পর্ক ধরে রাখা যায় না।”
“সবাই আপনার ভালো চায় না।”
“নিজের শান্তি রক্ষা করা জরুরি।”
“স্বার্থপরতা চিনতে শিখতে হয়।”
“না বলতে শেখা দরকার।”
“নিজেকে হারিয়ে কাউকে পাওয়া যায় না।”
“সব মানুষ বদলায় না।”
“অতিরিক্ত ত্যাগ মানুষকে দুর্বল করে।”
“স্বার্থপর মানুষ থেকে শিক্ষা পাওয়া যায়।”
“বিশ্বাস ধীরে দেওয়াই ভালো।”
“নিজের অনুভূতিকে সম্মান করুন।”
“সব সম্পর্ক সমান নয়।”
“নিজেকে ক্লান্ত করা বন্ধ করুন।”
“স্বার্থপর মানুষ আপনার শিক্ষক।”
“ভুল থেকে শেখাই বুদ্ধিমানের।”
“নিজের মানসিক স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ।”
“সবাই আপনার সময়ের যোগ্য নয়।”
“নিজেকে ছোট করবেন না।”
“স্বার্থপরতা দেখলে সরে যান।”
“নিজের মূল্য বুঝুন।”
“সব সম্পর্ক বাঁচানোর দায় আপনার নয়।”
“নিজেকে বাঁচানো শিখুন।”
“স্বার্থপর মানুষ আপনাকে শক্ত করে।”
“ভুল মানুষ চিনে নেওয়াই শিক্ষা।”
“নিজের শান্তিই আসল।”
বিখ্যাত ব্যক্তিদের স্বার্থপরতা ও মানবচরিত্র নিয়ে উক্তি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, মানুষ নিজেকে ভালোবাসতে গিয়ে অন্যকে ভুলে যায়
খালিল জিবরান মনে করতেন, অতিরিক্ত স্বার্থ মানুষকে একা করে দেয়
জর্জ অরওয়েল মানবচরিত্রে ক্ষমতা আর স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখিয়েছেন
ফ্রিডরিখ নিটশে মানুষের স্বার্থপর প্রবৃত্তির কথা বলেছেন
রবীন্দ্রনাথ মানুষের মুখোশের কথা তুলে ধরেছেন
খালিল জিবরান সম্পর্কের গভীরতার কথা বলেছেন
অরওয়েল স্বার্থপরতার সামাজিক রূপ দেখিয়েছেন
নিটশে মানুষকে নিজের দায়িত্ব নিতে বলেছেন
এই চিন্তাবিদরা সবাই মানুষ চিনতে শিখিয়েছেন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মনে করতেন, মানুষ নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে অনেক সময় মানবিকতা ভুলে যায়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, যেখানে হৃদয়ের চেয়ে লাভ বড় হয়ে ওঠে, সেখানে সম্পর্ক টেকে না
খালিল জিবরান বিশ্বাস করতেন, অতিরিক্ত স্বার্থপরতা মানুষের আত্মাকে ধীরে ধীরে একা করে দেয়
খালিল জিবরান বলেছেন, যে মানুষ শুধু নিজেকে দেখে, সে অন্যের কষ্ট বোঝার ক্ষমতা হারায়
জর্জ অরওয়েল মানুষের চরিত্রে স্বার্থ আর ক্ষমতার সংঘাতকে সবচেয়ে বড় সত্য বলে দেখিয়েছেন
জর্জ অরওয়েল মনে করতেন, স্বার্থপর মানুষ সত্যকে নিজের মতো করে বদলে নিতে চায়
ফ্রিডরিখ নিটশে বলেছেন, মানুষ প্রায়ই নিজের দুর্বলতা ঢাকতে স্বার্থপর হয়ে ওঠে
ফ্রিডরিখ নিটশে বিশ্বাস করতেন, আত্মকেন্দ্রিকতা মানুষকে শক্ত নয়, শূন্য করে তোলে
লিও টলস্টয় মনে করতেন, স্বার্থপরতা মানুষকে সম্পর্কের গভীরতা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়
মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, মানুষের চাহিদা সীমিত না হলে স্বার্থপরতা বেড়েই চলে
অস্কার ওয়াইল্ড মনে করতেন, মানুষ প্রায়ই নিজের সুবিধাকে নৈতিকতার নাম দেয়
আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন, সত্যিকারের মানবতা স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ভাবতে শেখায়
কার্ল মার্কস মানবচরিত্রে স্বার্থকে সামাজিক কাঠামোর ফল হিসেবে দেখেছেন
সিগমুন্ড ফ্রয়েড মনে করতেন, মানুষের অনেক স্বার্থপর আচরণের পেছনে লুকিয়ে থাকে ভয়
এরিক ফ্রম বলেছেন, ভালোবাসার অভাব থেকেই মানুষের স্বার্থপরতা জন্ম নেয়
হেনরি ডেভিড থরো বিশ্বাস করতেন, অতিরিক্ত চাওয়াই মানুষের চরিত্রকে বিকৃত করে
বুদ্ধ বলেছেন, নিজের কামনা দমন না করলে মানুষ অন্যের কষ্ট বাড়ায়
কনফুসিয়াস মনে করতেন, নৈতিকতা ছাড়া স্বার্থ মানুষকে অন্ধ করে দেয়
প্লেটো বলেছেন, ন্যায়হীন স্বার্থপরতা সমাজের ভিত্তিকে দুর্বল করে
অ্যারিস্টটল বিশ্বাস করতেন, পরিমিত স্বার্থ আর নৈতিকতার ভারসাম্যই মানুষকে পূর্ণ করে
ফেসবুক/হোয়াটসঅ্যাপের জন্য ছোট স্বার্থপর মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস
“সবাই আপন নয়, কেউ কেউ শুধু প্রয়োজনে।”
“স্বার্থপর মানুষ দূর থেকেই ভালো।”
“হাসির আড়ালে অনেক হিসেব থাকে।”
“প্রয়োজনে কাছে, সুবিধা গেলে দূরে।”
“সব সম্পর্ক টেকে না।”
“কথা নয়, কাজেই মানুষ চেনা যায়।”
“নিজেকে হারিয়ে কাউকে পাওয়া যায় না।”
“সবাই আপনার সময়ের যোগ্য নয়।”
“স্বার্থপরতা একদিন ধরা পড়বেই।”
“বিশ্বাস ধীরে দেওয়াই বুদ্ধিমানের।”
“সব হাসি সত্য হয় না।”
“নিজের শান্তি আগে।”
“সব মানুষ বদলায় না।”
“স্বার্থপর মানুষ ক্লান্ত করে।”
“না বলতে শেখাটাই বাঁচার উপায়।”
“সবাই আপনার ভালো চায় না।”
“নিজের মূল্য বুঝুন।”
“প্রয়োজনে সরে যাওয়াই বুদ্ধি।”
“সব সম্পর্ক ধরে রাখার দায় আপনার নয়।”
“শান্তিই আসল।”
FAQs
স্বার্থপর মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস কেন মানুষ বেশি খোঁজে?
কারণ বাস্তব জীবনে স্বার্থপর মানুষের অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে, আর সেই অনুভূতিগুলো স্ট্যাটাসের মাধ্যমে প্রকাশ করতে মানুষ স্বস্তি পায়।
স্বার্থপর মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস কি শুধু রাগ প্রকাশের জন্য?
না, এগুলো শুধু রাগ নয়; বরং বাস্তব অভিজ্ঞতা, শিক্ষা আর আত্মরক্ষার অনুভূতির প্রকাশ।
বন্ধুর স্বার্থপরতা বোঝার পর কী ধরনের স্ট্যাটাস দেওয়া ঠিক?
যে স্ট্যাটাসে সরাসরি আক্রমণ নয়, বরং বাস্তবতা ও নিজের অবস্থান স্পষ্ট হয়, সেগুলোই বেশি পরিণত।
স্বার্থপর আত্মীয় নিয়ে স্ট্যাটাস দিলে কি সম্পর্ক আরও খারাপ হয়?
স্ট্যাটাস যদি ইঙ্গিতপূর্ণ ও সংযত হয়, তাহলে তা নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে, সরাসরি সম্পর্ক নষ্ট করার কারণ হয় না।
স্বার্থপর মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস কি নিজের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে?
অনেক ক্ষেত্রে করে, কারণ নিজের অনুভূতিকে শব্দে প্রকাশ করলে ভেতরের চাপ হালকা হয়।
ফেসবুকের জন্য ছোট স্বার্থপর মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস কেন জনপ্রিয়?
কারণ অল্প কথায় তীব্র বাস্তবতা প্রকাশ করা যায়, যা সহজে মানুষ বুঝতে পারে।
স্বার্থপর মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস কি সব সময় নেতিবাচক হওয়া উচিত?
না, অনেক স্ট্যাটাসে সতর্কতা, শিক্ষা আর আত্মসম্মানের বার্তাও থাকে।
স্বার্থপর মানুষ নিয়ে উক্তি কি বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া ভালো?
হ্যাঁ, বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া উক্তিই পাঠকের সাথে বেশি সংযোগ তৈরি করে।
এই ধরনের স্ট্যাটাস কি নিজের ভুল মানুষ চিনতে সাহায্য করে?
অনেক সময় করে, কারণ লিখতে বা পড়তে গিয়ে মানুষ নিজের অভিজ্ঞতা নতুন করে ভাবতে শেখে।
স্বার্থপর মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস লেখার সময় কী মাথায় রাখা উচিত?
অপ্রয়োজনীয় আক্রমণ নয়, বরং সত্য, সংযম আর আত্মসম্মান—এই তিনটাকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
স্বার্থপর মানুষ থেকে নিজেকে কীভাবে রক্ষা করবেন?
স্বার্থপর মানুষ থেকে বাঁচতে হলে প্রথমে মানুষ চিনতে শিখতে হবে। কথার চেয়ে কাজকে গুরুত্ব দিন। শুরুতেই সীমা টানুন, অতিরিক্ত ত্যাগ করবেন না। নিজের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিন এবং প্রয়োজন হলে না বলতে শিখুন। সব সম্পর্ক ধরে রাখার দায় আপনার নয়। নিজের মানসিক শান্তি আর আত্মসম্মানকে অগ্রাধিকার দিন।
শেষ কথা
স্বার্থপর মানুষ আমাদের জীবনকে কঠিন করে তোলে, কষ্ট দেয়, কিন্তু সেই কষ্টই একদিন আপনাকে মানুষ চিনতে শেখায়। প্রতিটি অভিজ্ঞতা আপনাকে আরও সচেতন, আরও শক্ত করে তোলে। ভুল মানুষ থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াই পরিণত মানুষের কাজ।








